অবিরাম বাংলা ২৪.কম
নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান কি বিএনপি ছাড়ছেন এমন প্রশ্ন তৃণমুলের নেতাকর্মীদের। সম্প্রতি জেলা জাতীয় পার্টির এক অনুষ্ঠানে বিএনপির অঙ্গসংগঠনের এ নেতাকে উপস্থিত দেখা যায়। তারপর থেকেই সমগ্র জেলায় চলছে এ গুঞ্জন।
জানা যায়, গত ১৬ রোজায় বিদিশা এরশাদকে প্রধান অতিথি করে জেলা জাতীয় পার্টির উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে এবং ইফতার মাহফিলে আনোয়ার প্রধানের উপস্থিত দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে নেতাকর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রথমে মাসদাইরে আসেন বিদিশা এরশাদ। সেখানে দেখা যায় মাসদাইর মসজিদের সামনে থেকে তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন আনোয়ার প্রধান, রুবায়েত সায়েমসহ অনেকে। পরে চাষাড়ায় একটি রেষ্টুরেন্টে ইফতার মাহফিলে উপস্থিত হন বিদিশা, সেখানেও উপস্থিত হন আনোয়ার প্রধান।
এ ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে স্বেচ্ছাসবকদলসহ পুরো বিএনপিতে। ফলে অনেকেই প্রশ্ন করেন বলেন, আনোয়ার প্রধান কি বিএনপি ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন?
এদিকে, মহানগর বিএনপির এক নেতা ক্ষোভের সুরে বলেন, একজন বিএনপি নেতা জাতীয় পার্টির দুই দুইটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলো বিষয়টি ভালো চোখে দেখার কোনো বিষয় নয়। তার উপর আবার দলের একটি সহযোগী সংগঠনের জেলা শাখার সর্বোচ্চ পদে থাকা ব্যক্তির এমন কান্ডে হতবাক আমরা।
তিনি আরও বলেন, অনেক আগে থেকেই আমরা অনুপ্রবেশকারী ও সরকারী দলের সাথে আতাতকারীদের চিহ্নিত করে বিএনপি থেকে বহিস্কারের দাবি জানিয়েছি। এরই ধারাবাহিকতায় এ ধরনের কর্মকান্ডের কারণে এখন আমরা তারও বহিস্কার দাবি করছি।
স্বেচ্ছাসেবকদলের পদ-পত্যাশী নেতাকর্মীরা জানান, আমরা আগেই বলেছি আনোয়ার প্রধান সরকারী দলের সাথে আতাত করেই চলে। আর আজ তা প্রমাণও হয়েছে।
তারা আরও বলেন, আনোয়ার প্রধান আহবায়কের পদ দখল করে বসে আছে, দু/একটি শাখা কমিটি গঠন করলেও সবগুলো কমিটি করতে দিচ্ছে না। মূলত তার পছন্দের লোক নেই কমিটিতে সেখানে কমিটি দিতে চাইছেন না তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ার প্রধান বলেন, এটা মূলত কোনো রাজনৈতিক প্রোগ্রাম নয়। আমার বন্ধু সায়েমের আমন্ত্রণে আমি সেখানে গিয়েছিলাম, তাছাড়া আমি বিদিশা ম্যাডামের লিগ্যাল এডভাইজারও। এজন্যই আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম, এছাড়া আর কিছুই নয়, বিএনপিতে আছি, বিএনপিতেই থাকবো।
Leave a Reply