অবিরাম বাংলা ২৪ঃ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা কুতুবপুর পাগলা এলাকায় দূর্গা প্রতিমা ভাঙ্গার অভিযোগ উঠেছে চিন্ময় দাস মোহন্ত ও তার ভাই তন্ময় দাস মোহন্ত ও তার বাহীনির বিরুদ্ধে।
জানা যায় কয়েকদিন আগে বিবাদী চিন্ময় দাস মোহন্ত ও তার ভাই তন্ময় দাস মোহন্ত ও তার সহযোগীরা গভীর রাতে মন্দিরের সিসি ক্যামেরা বন্ধ করিয়া প্রতিমা ভাঙ্গার পর বাহিরে নিয়ে ট্রলার দিয়ে নদীর মাঝখানে নিয়ে পানিতে ফেলে দেয় এবং সেখানে তাদের গড়া আরেকটি প্রতিমা বসিয়ে তাৎখনিক ভাবে চলে যায়।
এ বিষয়ে পাগলা শ্রী শ্রী পাগলনাথ জিউ রাম মন্দির কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সুমন দাস ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ তিনি জানান ,প্রতিবছরের ন্যায় এবারো ধারাবাহিকতা ভাবে পুরাতন প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে নতুন প্রতিমা বানিয়ে মন্দিরে স্থাপন করি।কিন্ত মন্দির ভাঙ্গার পরের দিন আমি মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পাই আমাদের মন্দিরের প্রতিমা ভাঙ্গা এবং অন্য একটি প্রতিমা রাখা।পরবর্তীতে বাজারের নৈশ প্রহরী মোস্তফা আমাকে পুরো বিষয়টি জানায় এবং যেই ট্রলার দিয়ে প্রতিমাটি ফেলে দেওয়া হয় সেই ট্রলার চালক মনিরও আমাকে জানায় আমার অভিযোগে দায়েল করা বিবাবীরা এই কাজ করেছে।শুধু তাই নয় এলাকার তাদের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে নানান অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।তাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ফৌজদারি মামলাও রয়েছে।
জানা যায় বিবাদীরা তার পিতা পরোগমন করার পর তাদের দুই ভাই পাগলা মন্দিরের ভিতর বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ করে এবং মন্দিরে বসে থেকেই বিভিন্ন ধরেেনর মাদক মাদক সেবন করে থাকে ।তারা পুরো পাগলা এলাকায় মাদকের বিস্তার করার চেষ্টা করছে এবং যারাই তাদের এই অপকর্মের জন্য বাধা প্রদান করে তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে মামলা দেওয়ার হুমকি প্রদান করে।
অভিযোগের তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এস আই পলাশ কান্তি রায় বলেন, পাগলা এই মন্দিরে দুইটি পক্ষ রয়েছে প্রথমে এক পক্ষ প্রতিমা বিসর্জন দিয়েছে পরবর্তীতে আরেক পক্ষ বিসর্জন দেয় তাদের দুই পক্ষের ঝামেলা চলছে। এ নিয়ে থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে আর আমি অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই।আর এই বিষয়টি ইউ এন ও সাহেব অবগত রয়েছেন।
Leave a Reply