অবিরাম বাংলা ২৪ঃনারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক মুন্সীর বালু ভর্তি ট্রাক আটকে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে কিশোর গ্যাং লিডার মুজাহিদ ও মিজানের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে ২৫ ডিসেম্বর রাত ৮ টায় কুতুবপুরের শহীদ নগর এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাক বিতণ্ডার এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং সংঘর্ষে রূপ নেয় পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফতুল্লা থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বর্তমান সময়ে মূর্তিমান আতঙ্ক এখন কিশোর গ্যাং। মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, চুরি ছিনতাই থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে উঠতি বয়সের ছেলেদের দিয়ে গড়ে ওঠা কুতুবপুরের সহিদ নগর এলাকার কিশোর গ্যাং মুজাহিদ ও মিজান বাহিনী। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনে অভিযোগ থাকলেও রহস্য জনক কারণে এরা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় এদের বিরুদ্ধে নিউজ প্রকাশিত হলেও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে বলে জানিয়েছেন অনেকেই।
কিশোর গ্যাংয়ের এই সদস্য গাজী মুজাহিদ মোল্লা ও মিজান বাহিনী দিন দিন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। আদর্শ নগর থেকে মাতুয়াইল মেডিকেল সংলগ্ন অটো সিএনজি থেকেও এরা বিপুল অর্থ চাঁদা হাতিয়ে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় না আনলে আরো ভয়ংকর কিছু করতে পারে বলে ধারণা করছেন শহীদনগর এলাকার সচেতন মহল।
জানা যায়, এই মুজাহিদ মোল্লার বাবা বিএনপি জামাতের নাশকতার সাথে জড়িত। ৮ই ডিসেম্বর রাতে কদমতলী থানায় মুজাহিদ মোল্লার বাবা গাজী মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু রহস্যজনক কারণে রাতের মধ্যেই মুক্তি পেয়ে যায়।
অন্যদিকে, সহিদ নগর এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি বলেন, মুজাহিদ মোল্লা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর পিছে ফটোশেসন করে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের নাম ভাঙ্গিয়ে বীরদর্পে অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু আসলে সে বিএনপি জামায়াতের একজন সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে, জমি দখল, ইভটিজিং, মাদক কেনাবেচা সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ কদমতলী থানা ও ফতুল্লা মডেল থানায় রয়েছে।
সহিদ নগর এলাকার বেশ কয়েকটি ডাকাতির সাথেও এই মুজাহিদ বাহিনীর সখ্যতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন অনেকেই।
এই মুজাহিদ বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সম্প্রতি ২১ ই ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দপ্তরে সহিদ নগর এলাকাবাসী অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন। যাহা তদন্তাধীন রয়েছে।
এই যুবলীগ নেতা আব্দুল খালেক মুন্সীর সাথে কথা বলে জানা যায় তিনি বলেন তারা আমার বালু ভর্তি ট্রাক আটকে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে চাঁদা না দিলে তারা আমাকে ব্যবসা করতে দিবে না বলে সব জানিয়ে দেয় এই বিষয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আপনারা এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানতে পারবেন তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ।
এই বিষয়ে মুজাহিদের সাথে কথা জন্য বারবার চেষ্টা করে ও তা সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply