অবিরাম বাংলা ২৪: নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লায় স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় প্রকাশ্যে স্বামী সুমন (২৫)সহ ছোট দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সন্ত্রাসী ইমরান ও বাহিনীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার পরের দিন রাতেই রানা ও রাতুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ প্রধান আসামী ইমরানসহ বাকি আসামিরা এখনো গ্ৰেফতার হয়নি। সোমবার রাত ৯ টার দিকে ফতুল্লা থানাধীন কুতুবপুরের রসুলপুল এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, স্ত্রীকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করার অপরাধে এর আগে স্থানীয় ভাবে সন্ত্রাসী ইমরানের বিরুদ্ধে রসুলপুর এলাকায় বিচার শালিশ হয়েছে। তারই জের ধরে সোমবার (১৫মে) রাতে মধ্য রসুলপুর এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে ইমরান(২৮), শাহ আলমের ছেলে জুয়েল(২৮) জুলহাস এর ছেলে রানা(২৬) ও রাব্বি(২০) রোমানের ছেলে রাতুল (২১) রাত ৯টার দিকে সুমন, ছোট ভাই সজিব এবং ওয়াজিদ তিন ভাই মার্কেট থেকে বাসায় ফেরার পথিমধ্যে পূর্ব শত্রুতার জেরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা করে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও ধারালো চাকু দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।
এ সময় আহত ছোট ভাই সজিব এবং ওয়াজিদের ডাক-চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে সুমনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩’শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সুমন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
হাসপাতালে গুরুতর আহত সমুন এর শশুর ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সম্পাদক সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, ফতুল্লা মডেল থানাধীন পুর্ব রসুলপুর আচারপট্টির এলাকার বাসিন্দা মাদকাসক্ত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী ইমরান বেশ কিছুদিন ধরে আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছে। এর আগে আমার মেয়েকে রাস্তাঘাটে চলাফেরা করার সময় ভিবিন্ন রকম অশ্লীল মন্তব্য করে তাকে লাঞ্ছিত করতো এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবা আসক্ত ও সন্ত্রাসী ইমরান। এ ব্যাপারে এলাকায় একাদিকবার বিচার শালীশ হয়েছে। গত কয়েক দিন যাবত আমার মেয়েকে পুনরায় আপত্তিকর মন্তব্য করলে বিষয়টি ফতুল্লা থানা পুলিশকে জানানো হয় এক পর্যায়ে ইমরানের বাড়িতে গিয়ে পুলিশ তাকে শাসিয়ে আসে । তারই জের ধরে সোমবার (১৫মে) রাতে মার্কেট থেকে বাসায় ফেরার পথে সুমনসহ তার ছোট দুই ভাই সজিব এবং ওয়াজিদকে পথরুদ্ধ করে ইমরান ও তার সন্ত্রসী বাহিনী ধারালো অস্ত্রশস্ত্রসহ জনসম্মুখে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।
ঘটনার পরের দিন সকালে স্বামীর এমন খবর শুনার পর তার মানসম্মান ক্ষুন্ন হওয়ার কথা ভেবে নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ সময় আশপাশের লোকজন দরজার ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় স্ত্রী এখনও হাসপাতালে চিকিৎসা অবস্থায় রয়েছে। এই ঘটনার দিনেই ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেন।
এই বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক দিপু বলেন, সুমনসহ তার দুই ভাইকে মারধরের ঘটনায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। তিন ও পাঁচ নং এজাহারভুক্ত আসামি রানা ও রাতুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাকি অপরাধীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।
Leave a Reply