অবিরাম বাংলা ২৪: নারায়ণগঞ্জ -২ ( আড়াইহাজার) সংসদীয় আসনে টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু।

এতদিন তার কোনো প্রতিযোগী না থাকায় তিনি সহজেই এমপি হয়েছেন।
তবে চতুর্থবারে কাজটা মোটেই সহজ হতে যাচ্ছে না।
কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান মোল্লা এ আসনে নৌকা প্রতীকে নমিনেশন প্রত্যাশী।
তার রাজনৈতিক পথচলা, নমিনেশন পাওয়ার সম্ভাব্যতা নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন বঙবন্ধু কন্যা কৃষক রত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরপর তিনবার ক্ষমতায় আসলেন।
উনি একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক।
উনি যে ভিশন দিয়েছেন , যে রোড ম্যাপ দিয়েছেন, অনুযায়ী ভীষণ উন্নয়ন করেছেন । তার ছোঁয়া আড়াইহাজারেও লেগেছে।
এখানে আরো অনেক উন্নয়নের ছোয়া লাগতে পারতো। আমি ছাত্র জীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হৃদয়ে লালন করি।
৭৫ এর পর একটাই লক্ষ্য ছিল, প্রিয় নেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে, তাকে ক্ষমতায় আনতে হবে এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতে হবে।
আপা(শেখ হাসিনা) এগুলো করেছেন।
এ হত্যার বিচার করেই তিনি থেমে থাকেননি।
বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশকে একটি সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন।
২০২১ সালে উন্নত দেশ, ২০৪১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের মধ্য দিয়ে এখন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
এই আড়াইহাজারে অবকাঠামোগত আরো অনেক কাজ করা যেত।

আমাদের প্রধানমন্ত্রী সারা বাংলাদেশে যে কাজ করেছেন এবং আড়াইহাজেরও যে কাজ করতে চেয়েছেন, আপার এই মনোভাবের সাথে আমি যদি কখনো সুযোগ পাই তাহলে উন্নয়ন করব ইনশাল্লাহ। কারণ এখানে কাজ করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।
আর আমি বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আবারো ক্ষমতায় আসবেন
আর তাকে যদি ক্ষমতায় আনতে হয় আড়াই হাজারের আওয়ামী পরিবারের সন্তান যারা তারা মন থেকে দোয়া করছে।
আওয়ামী লীগের অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে, শেখ হাসিনার অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে যেহুতু প্রচুর কাজ করেছে।
আপার জনপ্রিয়তা এবং আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা এই দুটোকে সমন্বয় করে যদি শুধু ব্যক্তিটাকে পরিবর্তন করে দেওয়া যায় তবে আড়াইহাজারে আবারো নৌকা বিপুল ভোটে জয়ী হবে।
নারায়ণগঞ্জ-২ এই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে তিনি কতটুকু আশাবাদী এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের জনপ্রীয়তা, শেখ হাসিনার জনপ্রীয়তা এ দুটোকে কাজে লাগিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়ী হতে হলে এখানে পার্থী বদল করতে হবে।
আমরা যারা ছাত্রলীগ করে এসেছি, ছাত্রনেতাকে পর পর তিনবার এখানে মূল্যায়ন করা হয়েছে। উনি
আওয়ামী পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে।
এই আড়াইহাজারে চরাঞ্চলে ৭৫ এর পর যারা জীবন বাজি রেখে আওয়ামী লীগকে ধরে রেখেছিল তাদের অনেকে অভিমান করে পার্টি থেকে দূরে রয়েছে । তারা সবাই চায় তারা যদি একটা ভালো প্রার্থী পায়, প্রার্থীর পরিবর্তন পায় তাহলে তারা আওয়ামী লীগ টাকে আবারও ঐক্যবদ্ধ করতে চায়।
আমি এই ঐক্যবদ্ধের জায়গাটাতে কাজ করতে চাই।
জনশ্রুতি আছে এখানে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী না করে ব্যক্তির হাতকে শক্তিশালী করার কারণে এখানে আওয়ামী লীগের লোকজন অভিমান করে দূরে সরে রয়েছে।
আর আমার প্রিয় নেতৃত্ব বলেন ই আমার কর্মীরা অভিমানী হতে পারে কিন্তু তারা সময় মতো শক্তিশালী করার জন্য আওয়ামী লীগকে আবারো ক্ষমতায় আনার জন্য কাজ করবে।
এজন্য আড়াইহাজারে ব্যক্তি কেন্দ্রিক এর বাইরে যেয়ে আমাদের একটাই আদর্শ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার আমাদের একটাই নেতা শেখ হাসিনা।
এই আড়াইহাজার কে শেখ হাসিনার আড়াইহাজার করতে হবে।

কাঁচপুরে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ কে ঘিরে তার প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যেহেতু রাজনীতি করি আমি এলাকায় আসি।
এই আড়াইহাজারের মানুষই আমাকে প্রস্তুত করছে।
তারা বলছে, আপনি যেহেতু রাজনীতি করেন এখানে আমাদের এমন নেতা দরকার যারা আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করে আড়াই হাজার কে শেখ হাসিনার আড়াইহাজার গড়ে তুলবে।
আমি বিশ্বাস করি আড়াই হাজারের মানুষ যেহেতু আমাকে তৈরি করছে,তারা আগায় দিচ্ছে, তারাই কিন্তু আমাকে নিয়ে কয়েকদিন আগে ঢাকায় কৃষকলীগের একটা সমাবেশ হয়েছিল সেখানে যোগদান করছে, আমি চিন্তাও করতে পারি নাই নদী পাড়ি দিয়ে ট্রলারে করে এত লোক যাবে।
এ লোক যাওয়ার একটাই কারণ তারা আমাকে প্রস্তুত করতে চায়।
তারা বলে আপনি এগিয়ে যান আমরা আপনার পাশে আছি।
আপনি যেহেতু রাজনীতিটা মন থেকে করেন, অন্তর থেকে করেন।
আপনি যেহেতু শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে চান,আমরা আপনার পাশে আছি, থাকবো।