রাজধানী সহ আশেপাশের কয়েকটি জেলায় গ্যাসের সংকট। তারই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জ জেলার বেশির ভাগ এলাকাতেই বাসা বাড়িতে গ্যাস নেই । বাসা বাড়িতে রান্নার বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় রেস্টুরেন্ট ও হোটেলের দারস্থ হচ্ছে বেশির ভাগ মানুষই। এতে হোটেলগুলোতে দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়। হোটেলে ক্রেতাদের খাবার সংগ্রহ করতে সৃষ্টি হয়েছে রীতিমতো কাড়াকাড়ির উপক্রম।
২৭ শে মার্চ রবিবার ভোর থেকেই গ্যাসের সংকট নারায়ণগঞ্জ শহর, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, বন্দর সহ আশে পাশের এলাকাতে।
জনগণ নিজ নিজ এলাকার হোটেল রেস্টুরেন্টে দৌড়াতে থাকে সেখানে গিয়েও পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। লোকজনের ভিড়ে মুহূর্তের মধ্যে বিক্রি হয়ে যায় সব রেস্টুরেন্টের খাবার। এমন অবস্থায় মানুষ ছুটে যায় ফুটপাতের খোলা খাবারের দোকানগুলোতে। সেখানেও কিছু সময়ের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায় সব খাবার।
গ্যাস না থাকায় সব মিলিয়ে চড়ম খাদ্য সংকটে আছে নারায়ণগঞ্জের অধিকাংশ এলাকার মানুষ।
এসব দোকানদাররা হোটেলের বাইরে থেকে লাকড়ির চুলা ও সিলিন্ডারের সাহায্যে রান্নার ব্যবস্থা করেছে।
খাদ্য শেষ হওয়ায় নতুন করে রান্নার অর্ডার দেয়া হয় এবং রান্না হয়ে হোটেলে খাবার পৌঁছানো পর্যন্ত মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে থাকে। এদিকে কর্মচারীরাও ভিড় সামলাতে না পেরে হোটেলে বসিয়ে খাওয়ানো বন্ধ করে দিয়ে শুরু করেছে পার্সেল বিক্রি।
এদিকে, কোনো কোনো বাসায় হিটারে রান্নার ব্যবস্থা করা হলেও বিড়ম্বনায় পরতে হয় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায়। তবে হঠাৎ গ্যাস সংকটকে ভালোভাবে নিচ্ছে না মানুষ। তাদের অধিকাংশের দাবি এতো বড় সমস্যার পেছনে কোনো গাফলতি অথবা ষড়যন্ত্র থাকতে পারে।
Leave a Reply